১৮৭৬ সালে স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করা হযেছিল। এই ব্যবস্থায় মুদ্রার মূল্যমান স্বর্ণের মানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। ফলে মোট স্বর্ণের মূল্যের সমপরিমাণ কাগুজে মুদ্রা কোন দেশের জন্য রাখা হত। কিন্তু স্বর্ণের আকশ্মিক মুল্য বৃদ্ধির ফলে এই পদ্ধতির ত্রুটি ধরা পরে এবং একে বিদায় নিতে হয়।
এই স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময় যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মত টাকা ছিল না। কারণ তাদের স্বর্ণের মজুদ ঐ পরিমান টাকা ছাপার জন্য যথেষ্ট ছিল না। যদিও এই স্বর্ণ ব্যবস্থা এখন আর নেই তারপরও স্বর্ণ তার মূল্য এবং মুদ্রামানে নিজের অবস্থান ঠিকই ধরে রেখেছে। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে সকল মুদ্রার মান নির্দিষ্ট হবে এবং আমেরিকান ডলার হবে মুদ্রার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ভিত্তি যা স্বর্ণ এর বিপরীতে একমাত্র পরিমাপকৃত মুদ্রা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ব্রেটন উডস ব্যবস্থা যা ১৯৪৪ সালে কার্যকর হয়।
১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যে তারা আর স্বর্ণের বিপরীতে ডলার এর বিনিময় করতে আগ্রহী নয় যা বৈদেশিক সংরক্ষণ হিসেবে রাখা আছে। এর ফলে ব্রেটন উডস প্রথাও বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয় যার মাধ্যমে মূলত সর্বসম্মতভাবে পরিবর্তনশীল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন হযেছিল। এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়।